সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি নাসার মহাকাশযান

0 min read
সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়ে ইতিহাস গড়েছে নাসার মহাকাশযান ‘পার্কার সোলার প্রোব’। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সূর্যের ৩৮ লাখ মাইল কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয় এটি। মহাকাশযান থেকে পাঠানো আলোর সংকেত থেকে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন নিরাপদে আছে এটি। সূর্য সম্পর্কে আরো জানার চেষ্টা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের অনেক আগে থেকেই ছিল। জলন্ত এই বিশাল অগ্নিকুণ্ডকে জানতে গবেষণাও চলছে প্রতিনিয়তই। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার মহাকাশযান ‘পার্কার সোলার প্রোব’ ইস্টার্ন টাইম জোন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সফলভাবে সূর্যের কাছে যেতে সক্ষম হয়েছে। এর আগে আর কোনো মহাকাশযান সূর্যের এত কাছাকাছি যেতে পারেনি। নাসা জানায়, গত মঙ্গলবার ‘পার্কার সোলার প্রোব’ নামের মহাকাশযানটি সূর্যের দিকে ছুটতে শুরু করে। তখন এর গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার মাইল। যাত্রার পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মহাকাশযানটির সঙ্গে। প্রোগ্রাম করা ছিল এটি যদি সফলভাবে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে তবে আলোক সংকেত পাঠাবে। বিজ্ঞানীদের অধির অপেক্ষা ছিল এই সংকেতটির জন্য। পরে ইস্টার্ন টাইম জোন অনুযায়ী স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই সংকেত পান বিজ্ঞানীরা। তারা জানান, ‘পার্কার সোলার প্রোব’ সূর্যের প্রায় ৩৮ লাখ মাইল কাছাকাছি যেতে পেরেছে নানা প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে। এসময় যানটিকে সহ্য করতে হয়েছে ৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এরপরেও এটি নিরাপদে আছে বলে জানা যায়। আশা করা হচ্ছে আগামী পহেলা জানুয়ারি নিজের ‘পার্কার সোলার প্রোব’ নিজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাঠাবে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে এই অভিযানে মহাকাশযানটির সফলতা সূর্য সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে সাহায্য করবে বিজ্ঞানীদের। পাওয়া যাবে নক্ষত্রটি সম্পর্কে নতুন অনেক তথ্যও। সূর্যের উত্তপ্ত অঞ্চল বুঝতে সাহায্য করবে এসব তথ্য। ভূমিকা রাখবে সৌরবায়ুর উৎস শনাক্ত করতেও। নাসার বিজ্ঞান গবেষণার প্রধান ড. নিকোল ফক্স বলেন, ‘শতকের পর শতক ধরে লোকজন সূর্য নিয়ে গবেষণা করছেন। কিন্তু আপনি একটি জায়গার বায়ুমণ্ডলে না গেলে সেখানে আসলে কী ঘটছে, তার সম্পর্কে ধারণা পাবেন না। তাই সূর্যকে জানতে হলেও তার বায়ুমণ্ডলে যেতে হবে।’ আমারবাঙলা/এমআরইউ

from Amarbangla science Feed https://ift.tt/InfbVE4
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Menu
Dark Theme
Share